কৃষি নির্ভর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভূমিকা অত্যাবশ্যক। ২০১১-১২ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনে(জিডিপি) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অবদান ছিল ২.৫১ শতাংশ। সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রাণিজ প্রোটিনের প্রায় ৪৪ শতাংশ প্রাণি সম্পত্তি উৎস থেকে আসে। তাছাড়া, দেশের মোট রপ্তানির ৪.৩১ শতাংশ (2011-12) চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি থেকে আসে। যান্ত্রিক কৃষিকার্যের পাশাপাশি এখন ও মোট কৃষিকার্যের ৩০ শতাংশ বিভিন্ন প্রাণি দ্বারা সম্পাদিত হয়।উপরন্তু জনসংখ্যার ২০ শতাংশ প্রত্যক্ষভাবে এবং ৫০ শতাংশ উপর কোন না কোনভাবে প্রাণিসম্পদ সেক্টরের নির্ভরশীল। গত অর্থবছরে এই সাবসেক্টর 3.৫4 শতাংশ বৃদ্ধির হার আস্বাদন করেছে।দারিদ্র্য বিমোচন লক্ষ্য সাধনের জন্যে বাংলাদেশ সরকার প্রাণি সম্পদকে অন্যতম সূচক হিসেবে বিবেচনা করেছে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যের (MDG) তিনটি লক্ষ্য যথাক্রমে ‘দারিদ্র্যবিমোচন’, ‘লিঙ্গসমতা’ এবং ‘নারীর ক্ষমতায়ন’-এ অসামান্য অবদান রেখে যাচ্ছে। প্রোটিনের চাহিদাপূরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি এবং নারীদের ক্ষমতায়ন সংক্রান্ত লক্ষ্য পূরণের জন্য সরকার প্রাণিসম্পদ খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
অত্র দপ্তর দ্বারা টিকা বীজ ও ঔষধ সরবরাহ, সেবামূলক কার্যক্রম পরিদর্শন, ঋণদান কার্যক্রম তদারকী, চিকিৎসা কার্য্যক্রম, এবং উন্নয়ন-মূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নে পরামর্শ প্রদান ও দিক নির্দেশনা দেওয়াই এ কার্যালয়ের কাজ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস